রিসাং ঝর্ণা খাগড়াছড়ি মাটিরাঙ্গা উপজেলা সাপমারা গ্রামে অবস্থিত। একটি মনোমুগ্ধকর পাহাড়ি ঝর্ণা যার নাম , রিসাং ঝর্ণা যা একটি প্রাকৃতিক জলপ্রপাত। স্থানীয়দের কাছে এটি সাপমারা রিসাং ঝর্ণা বা তৈরাং তৈকালাই নামে পরিচিত। আলুটিলার পাহাড় থেকে রিসাং ঝর্ণা দূরত্ব ৩ কিলোমিটার।
রিসাং শব্দটি এসেছে মারমা সম্প্রদায়ের মারমা ভাষা থেকে মারমা ভাষায় রিং শব্দের অর্থ পানি আর শাঁং শব্দের অর্থ উঁচু স্থান হতে কোন কিছু গড়িয়ে পড়াকে বুঝায়। অর্থাৎ রিসাং শব্দধারা উঁচু স্থান হতে জলরাশি গড়িয়ে পড়াকে বুঝায়।
খাগড়াছড়ি জেলা শহর থেকে এর দূরত্ব ১১ কিলোমিটার। জিপ, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার বা সিএনজি করে এই ঝর্ণা কাছাকাছি আসা যায়। তারপর ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার রয়েছে পায়ে হাঁটা পথ।
উঁচু-নিচু পাহাড়ের গা গেসে যেতে যেতে যে কারোরই দৃষ্টি কেড়ে নেবে। পাহাড়ি সবুজের সমরহ পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে ঝর্ণার পথে ২৩৫ ধাপের সিঁড়ি দিয়ে নামতে হয়। সিঁড়ি দিয়ে নামার সময়ই শোনা যায় ঝর্ণা শব্দ।
প্রাকৃতিক এই ঝর্ণার জলধারা ১০০ ফুট উঁচু থেকে আছড়ে পড়ে বিশাল এক ঢালু পাথরের বুকে। পাথরের উপর থেকে গড়িয়ে নেমে আসে সমতলে পানির গতিপথ ঢালু হওয়ায় প্রাকৃতিক ভাবেই সৃষ্টি হয়েছে ওয়াটার স্লাইডিং যা এই রিসাং ঝর্ণা প্রধান আকর্ষণ। সৌন্দর্য মন্ডিত রিসাং ঝর্ণা হিম শীতল বহমান স্বচ্ছ পানির আওয়াজ বরাবরই পর্যটকদের আকর্ষণ করে। আর চাইলেই রিসাং ঝর্ণার জলে অনায়াসেই শরীর জুড়িয়ে নিতে পারবেন এমনকি যারা একটু দুরন্ত প্রাকৃতির তাদের জন্য রয়েছে ওয়াটার রাইড এর ব্যবস্থা সবই বিনা খরচে।
আনুমানিক ১৯৯৩-৯৪ সালে এই প্রাকৃতিক রিসাং ঝরনাটি আবিষ্কৃত হয় বলে জানা যায়। জুম চাষের সুবাদে ঝর্ণাটি মানুষের নজরে আসে ২০০৩সালে। ঝরনাটি ভ্রমণ পিপাসু মানুষের চোখে পড়ে তখন থেকেই মানুষ এখানে আসে এই ঝর্ণা সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য।
রিসাং ঝর্ণা থেকে 200 গজ ভিতরে রয়েছে আর একটি ঝর্ণা যা কিনা রিসাং ঝর্ণা টু বা অপু ঝর্ণা নামে পরিচিত।
ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের বাস সার্ভিস রয়েছে এসি এবং নন এসি দুই ধরনের বাস পাওয়া যায়।
শ্যামলী পরিবহন
গ্রীন লাইন পরিবহন
হানিফ এন্টারপ্রাইজ
সেন্ট মার্ট সেন্ট মার্টিন হুন্দাই পরিবহন
খাগড়াছড়ি থেকে রিসাং ঝর্ণায় যাওয়ার জন্য খাগড়াছড়ি থেকে সিএনজি বা চান্দের গাড়ি করে যেতে পারেন তবে সে ক্ষেত্রে ঝর্ণা থেকে ৫০০ মিটার দূরে নামতে হবে এরপর বাকি পথ পায়ে হেঁটে যেতে হবে।
খাগড়াছড়ি থাকার জন্য বিভিন্ন মানের হোটেল রয়েছে। কিছু হোটেলের তালিকা দেওয়া হলোঃ
খাগড়াছড়িতে খাবার জন্য বিভিন্ন মানের রেস্টুরেন্ট রয়েছে। কিছু রেস্টুরেন্ট তালিকা দেওয়া হলোঃ
আরো পড়ুন: লালবাগ কেল্লা
বোটানিক্যাল গার্ডেন সবুজের আচ্ছাদন আর নির্মল বাতাসের শান্ত নিরিবিলি স্থান হিসেবে পরিচিত । ময়মনসিংহ জেলার…
মালনি ছড়া চা বাগান হল বাংলাদেশের সিলেট জেলায় অবস্থিত। যা উপমহাদেশের সবচেয়ে প্রাচীনতম চা বাগান।…
সাগর কন্যা দ্বীপ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দ্বীপ। বরিশাল বিভাগের অন্তর্গত এই জেলা নাম ছিল দক্ষিণ…
বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর একটি প্রত্নতবরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর রাজশাহী শহরে অবস্থিত। যেটি বাংলাদেশের প্রথম জাদুঘর। ত্ত্ব সংগ্রহে…
প্রয়াস সেনা বিনোদন পার্ক সবাই একটু কম বেশি চিত্তবিনোদনের জন্য বিভিন্ন বিনোদনের পাট এর খোঁজ…
বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত। চিড়িয়াখানাটি বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে…
View Comments