কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে পটুয়াখালী জেলার অন্তর্গত কলাপাড়া ইউনিয়নে অবস্থিত বাংলাদেশের আকর্ষণীয় দর্শনীয় স্থান । পর্যটকদের কাছে সমুদ্র সৈকত আবার সাগর কন্যা হিসেবে পরিচিত। এই সমুদ্র সৈকতটি ১৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও তিন কিলোমিটার প্রস্থ এটি বিশ্বের একমাত্র সমুদ্র সৈকত। যেখান থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত অবলোকন করা যায়। যখন ভোরের রক্তিম সূর্য উদিত হয় মনে হয় যেন সাগরের পেট চিরে উদিত হচ্ছে ।আবার যখন সূর্য অস্তমিত হয় মনে হয় যেন সাগরের মধ্যেই ডুবে যাচ্ছে ।
দেশ-বিদেশের বহুরূপ দেখেছি,
কারো সাথে হয় না যে তোমার তুলনা।
বহুরূপের মাধুর্য তোমার, তুমি যে সাগর কন্যা।
তোমার তরেতে ঘুমায় রবি,
সকালে উদিত হয়।
এ কি দৃশ্য দেখার মতো,
সে কি কখনো ভোলা যায়।
কুয়াকাটার ইতিহাস:
কুয়াকাটা নামকরণের একটি ইতিহাস রয়েছে। ধারণা করা হয় সুলতানি ও মুঘল আমলে এদেশে মানববসতি শুরু হয় ।কুয়া শব্দটি এসেছে “কুপ” থেকে। রাখাইনরা যখন এখানে এসে বসবাস শুরু করে তখন তাদের বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় মিঠা পানির অভাব। কারণ সমুদ্রের পানি অতিরিক্ত লবণাক্ত হওয়ায় তা খাওয়ার অনুপযোগী হয়। তাই তারা এখানে মিঠা পানির অভাব পূরণ করতে অনেক কুপ খনন করেন। আর এই কুপ থেকে পানি তুলে তা পান করত। মিঠা পানির কুপের নাম অনুসারে এই অঞ্চলে নামকরণ করা হয় কুয়াকাটা।
কুয়াকাটার অবস্থান:
কুয়াকাটা বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের পটুয়াখালী জেলার একটি দর্শনীয় ও পর্যটন কেন্দ্র। পটুয়াখালী জেলা কলাপাড়া মহিপুর থানার কুয়াকাটা পৌরসভায় কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত অবস্থিত। ঢাকা থেকে সড়ক পথে কুয়াকাটার দূরত্ব ৩৮০ কিলোমিটার ও বরিশাল থেকে ১০৮ কিলোমিটার পটুয়াখালী সদর থেকে ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে কুয়াকাটা অবস্থিত।
কুয়াকাটার সংস্কৃতি:
কুয়াকাটায় প্রতি বছর “রাস পূর্ণিমা” ও “মাঘী র্পূর্ণিমা” নামে দুটি উৎসব পালিত হয়। এখানে হিন্দু ও বৌদ্ধ সম্প্রদায় অনুষ্ঠান দুটি পালন করে। এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ আসে উপভোগ করার জন্য। সমুদ্র সৈকতের পাশেই রয়েছে পুরনো ১০০ বছরের বৌদ্ধ মন্দির গৌতম বুদ্ধের মূর্তি এবং প্রাচীন দুটি পানির কুপ রয়েছে ২০০ বছরের।
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এখানে রয়েছে অনেক দর্শনীয় স্থান :
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত (Kuakata Sea Beach):
কাটবো সাঁতার সাগরের বুকে।
মেলবো ডানা দুহাত তুলে,
ঘুরবো আমরা সমুদ্রের তীরে।
কুয়াকাটার সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান হচ্ছে সমুদ্র সৈকত। সাগরের বড় বড় ঢেউ যখন তীরে এসে আছড়ে পড়ে এযে কি মনোরম দৃশ্য তা বলে বুঝানোর মতো না। বহু মানুষ সাগরে নেমে ঢেউয়ের সাথে দোলা খায় কেউ কেউ টিউব নিয়ে সাঁতার কাটে।
সবচেয়ে দেখার মনোরম দৃশ্য হচ্ছে সূর্যদয় ও সূর্য্যস্ত।সকালবেলা সূর্য হাসি হাসি মুখ নিয়ে সাগরের মধ্য থেকে উথিত হয়, সারাদিন আলো ছড়িয়ে সন্ধ্যাবেলা যখন অস্ত যায় মনে হয় যেন ক্লান্ত হয়ে মলিন হৃদয়ে সাগরের মধ্যে ডুবে যাচ্ছে। অনেকে ছবির ফ্রেমে নিজেকে এবং মনোরম দৃশ্য ক্যামেরায় বন্দি করে রাখে। সাগরের তীরের কাছে রয়েছে মোটরসাইকেল, ঘোড়া, আরও রয়েছে স্পিডবোর্ড, ট্রলার ও ইঞ্জিন চালিত বড় নৌকা এগুলো দিয়ে তীর এর কাছাকাছি ঘোরাফেরা করা যায়।
প্রায় সারা বছর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে(Kuakata Sea Beach) জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য দেখা যায়। শীতকালে বিভিন্ন অতিথি পাখি দেখা যায়। সৈকতের ঠিক উত্তর পাশে রয়েছে নারিকেল পেয়ারা বাগান ও পূর্বদিকে রয়েছে ঝাউবন। সমুদ্রের তীরে রয়েছে বসার ও আরাম করা চৌকি ও বাহারি রকমের খাবারের দোকান।এসব ফুটকাট গুলোতে তাজা ফিস ফ্রাই, কাঁকড়া ফেরাই আরো বিভিন্ন রকম খাবার পাওয়া যায়।
কুয়াকাটা বৌদ্ধমন্দির(Kuakatar BuddhistTemple):
সমুদ্র সৈকত এর পাশেই রয়েছে কুয়াকাটা বৌদ্ধ মন্দির(Kuakata Buddhist Temple)। এই মন্দিরে রয়েছে প্রাচীন ৩৭ মন ওজনের অষ্টধাতুর তৈরি ধ্যানমগ্ন বুদ্ধের মূর্তি। আর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার পূর্বে মিশ্রি পাড়া রাখাইন পল্লী অবস্থিত। এই মিস্ত্রি পাড়ায় রয়েছে আর একটি বৌদ্ধ মন্দির। এই মন্দিরে রয়েছে সবচেয়ে বুদ্ধমূর্তি, এই মূর্তিটি দেখার জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রচুর মানুষ ভিড় জমিয়ে থাকে।
কুয়াকাটার কুয়া(Kuakatar Kua):
কুয়াকাটার দর্শনীয় স্থানগুলোর অন্যতম হলো কুয়াকাটার কুয়া(Kuakatar Kua)।কুয়া শব্দটি এসেছে “কুপ” থেকে। এই কুয়ার জন্যই কুয়াকাটা নামকরণ করা হয় এটি সমুদ্র সৈকতের কাছেই। রাখাাইন পল্লী কেরানিপাড়ায় অবস্থিত এই কুপটি প্রাচীন কুপ গুলোর মধ্য অন্যতম। এই কুপটি কুয়াকাটার ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন ।এটি বিভিন্ন সময়ে সংস্করণের জন্য আদি নিদর্শন অনেকটা লোব পেয়েছে ।
কুয়াকাটার লেবুর চর (KuakatarLabur Char):
সমুদ্র সৈকত থেকে পাঁচ কিলোমিটার পূর্ব দিকে কুয়াকাটার লেবুর চর(Kuakatar Labur Char) অবস্থিত। এই চর সাধারণ মানুষের কাছে লেম্বুর চর নামে পরিচিত। এই চরে শামুক ঝিনুকের প্রচুর খোলস পাওয়া যায়। এই চরের আয়তন প্রায় ১০০০ কিলোমিটার। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের সমারহ রয়েছে যা এই চারটিকে সৌন্দর্যে সুসজ্জিত করেছে গাছগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে যেমন কেওড়া, ঘেউয়া , গোড়ান, গোলপাতা ইত্যাদি।খুব সহজেই কুয়াকাটা থেকে মোটরসাইকেলে অথবা ভ্যানে করে এই লেবুর সাথে যাওয়া যায়।
কুয়াকাটার শুটকি পল্লী (Kuakatar Shutki Polli):
কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট থেকে খানিকটা পশ্চিম দিকে অবস্থিত কুয়াকাটার শুটকি পল্লী(Kuakatar Shutki Polli)। এখানে বছরে প্রায় চার থেকে পাঁচ মাস বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শুটকি করা হয়।শুটকি করার জন্য বাসের শাড়ি শাড়ি মাচা তৈরি করা হয়।এসব মাচায় নারী ও পুরুষ উভয় মিলে শুটকি তৈরির কাজ পরিচালনা করে।
এখান থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ও বহির্বিশ্বে শুটকির রপ্তানি করা হয়। শুটকি মাছের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে লইটা, রূপচাঁদা, ফাইসা, ছুরি, পোমা, চিংড়ি ইত্যাদি। শুটকি কুয়াকাটার ঐতিহ্য, ভ্রমণকারীরা এখানে ভ্রমণ করতে এসে তাদের পছন্দমত শুটকি ক্রয় করে নিয়ে যায়। এই শুটকি পল্লীগুলোতে প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক কাজ করে থাকে।
কুয়াকাটার ফাতড়ার চর (Kuakatar Fatrar Char) :
সমুদ্র সৈকতের পশ্চিম দিকে রয়েছে কুয়াকাটা ফাতড়ার চর(Kuakatar Fatrar Char) যা ফাতড়ার বন নামে পরিচিত। এটি বর্তমানে দ্বিতীয় সুন্দরবন হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছে। এই চরের আয়তন হচ্ছে ৯৯৭৫০৭ একর।এই চড়ে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা। এদের মধ্য উল্লেখযোগ্য হলো ফাতরা, সুন্দরী, গেওয়া, কেওড়া, গড়ান, গোলপাতা রয়েছে ।বিভিন্ন প্রকারের ছোট বড় অনেক সাপ, বানর ,সুকর, আরো রয়েছে বিভিন্নপ্রজাতির পাখি।
পাখিদের কাকলিতে সব সময় মুখর থাকে এই বন কুয়াকাটা থেকে এই চড়ে ইঞ্জিন চালিত ট্রলার ভাড়া করে যাওয়া যায়। যখন ট্রলার এই চড়ের খালের মধ্য প্রবেশ করে তখন খালের দুইপাশে সবুজের সমরহ মনকে আলিঙ্গন করে যায়। এই চড়ে থাকা খাওয়ার তেমন কোন ব্যবস্থা নেই ।
কুয়াকাটার গঙ্গামতির চর (Kuakatar Gonggamtir Char) :
সমুদ্র সৈকত থেকে সাত কিলোমিটার পূর্বদিকে অবস্থিত কুয়াকাটার গঙ্গামতির চর(Kuakatar Gonggamtir Char)। ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের অন্যতম দর্শনীয় স্থান হল গঙ্গামতির চর। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যে সজ্জিত এই গঙ্গামতির চর। এই চর থেকে খুব ভালোভাবে অবলোকন করা যায় সূর্যোদয়ের অপরূপ সৌন্দর্য। এই চড়ে রয়েছে স্বচ্ছ নীল জলরাশি মনে হয় যেন প্রকৃতি তার আপন হাতে সাজিয়ে রেখেছে। গঙ্গামতির চরেসাগরের তীর ভেসে রয়েছে, লাল কাকরা আর সাদা ঝিনুকের ছরাছরি রয়েছে।
বিভিন্ন প্রকারের গাছগাছালি রয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে যেমন কেওড়া, গেওয়া, ছইলা ইত্যাদি। গাছে গাছে বানরের লাফালাফি পাখিদের কলকাকুলি দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করেছে। কুয়াকাটা এসে যদি কেউ এই গঙ্গামতির চরে না যায় তবে তার ভ্রমণের অপূর্ণতা থেকে যাবে। কুয়াকাটা থেকে খুব সহজেই মোটরসাইকেল ভাড়া করে এই চরে যাওয়া যায়।
কুয়াকাটা কিভাবে যাবেন (How To Go Kuakata):
ঢাকা থেকে সড়ক অথবা নদী উভয় পথেই কুয়াকাটা যাওয়ার সুবিধা রয়েছে। নদী পথে একটু সময় বেশি লাগে তবে আরাম বেশি, সড়ক পথে সময় কম লাগে।
ঢাকা থেকে নদীপথে কুয়াকাটা :
নদীপথে লঞ্চে করে সরাসরি কুয়াকাটা যাওয়া যায় না।ঢাকা থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব 380 কিলোমিটার। ঢাকা সদরঘাট থেকে লঞ্চে করে পটুয়াখালী পর্যন্ত যেতে হবে।তারপর লঞ্চ থেকে নেমে অটো রিক্সা করে পটুয়াখালী বাসস্ট্যান্ড গিয়ে বাসে করে কুয়াকাটা যেতে হবে। পটুয়াখালী থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব ৭০ কিলোমিটারআবার ঢাকা সদরঘাট থেকে লঞ্চে করে বরিশাল গিয়ে লঞ্চ থেকে নেমে অটো করে রুপাতলী বাস স্ট্যান্ড গিয়ে বাসে করে কুয়াকাটা যাওয়া যায়। বরিশাল থেকে কুয়াকাটা দূরত্ব ১০৮ কিলোমিটার ।
ঢাকা থেকে সড়ক পথে কুয়াকাটা :
পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় সড়ক পথে ঢাকা থেকে কুয়াকাটা যাওয়া খুব সহজ হয়েছে। ঢাকার সায়দাবাদ অথবা বাসস্ট্যান্ড থেকে অনেকগুলি পরিবহন কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে সরাসরি ছেরে যায়। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিবহন হলো সাকুরা, শ্যামলী, গ্রীন লাইন, হানিফা, টিআর ট্রাভেলস, ইসলাম পরিবহন। নন এসি বাসের ভাড়া ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা এবং এসি বাসের ভাড়া ১১০০ থেকে ১৬০০ টাকা
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত কোথায় থাকবেন (Kuakata Hotel / Hotels):
কুয়াকাটায় থাকার জন্য পর্যটকদের বিভিন্ন মানের আবাসিক হোটেল রয়েছে। হোটেলের মান ওর শ্রেণী এবং সিজন ও সময় অনুযায়ী এসব হোটেল গুলোর রুমের ভাড়া নির্ভর করে। তবে অবশ্যই দামাদামি করে বুকিং দিতে হবে ।এসব আবাসিক হোটেল গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো
- হলিডে হোম
ফোন নম্বর ০১৭১৫০০১১৪৮৩
- হোটেল স্কাই প্যালেস
ফোন নম্বর ০১৭২৭৫০৭৪৭৯
- হোটেল নীলাঞ্জনা
ফোন নম্বর০১৭১২৯২৭৯
- কুয়াকাটা গেস্ট হাউস
ফোন নম্বর ০১৩০৮৬৮২৭৮৫
- হোটেল বনানী প্যালেস
ফোন নম্বর০১৭২৭৫০৭৮৭৯
- বিশ্বাস সি প্যালেস
ফোন নম্বর ০১৭৩০০৯৩৩৫৬
- বিচ হ্যাভেন
ফোন নম্বর ০১৭১৮৮২৬৪৫২
- সাগর কন্যা রিসোর্ট
ফোন নম্বর ০১৭১১১৮১৭৯৮
- হোটেল সৈকত
ফোন নম্বর ০১৭১৬২১৪৪২৮
- হোটেল সাগর নিড়
ফোন নম্বর ০১৭০১৪৯৯১২৩
- হোটেল কুয়াকাটা ইন
ফোন নম্বর ০১৭৫০০৮১৭৭
- সিকদার রিসোর্ট এন্ড ভিলাজ
ফোন নম্বর:017008o2726
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা সমূহের দূরত্ব কুয়াকাটা থেকে :
পটুয়াখালীথেকে কুয়াকাটার দূরত্ব ৭০ কিলোমিটার, বরিশাল থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব ১০৮ কিলোমিটার, ঢাকা থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব ৩৮০ কিলোমিটার, ঝালকাঠি থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব ১১৮ কিলোমিটার, সাতক্ষীরা থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব ৩২৫ কিলোমিটার, পিরোজপুর থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব ১৭৮ কিলোমিটার, কুষ্টিয়া থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব ৩২৭ কিলোমিটার, সিরাজগঞ্জ থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব ৪৪০ কিলোমিটার, গাইবান্ধা থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব ৫৩৬ কিলোমিটার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব ৫১৯ কিলোমিটার।
বগুড়া থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব ৪৭৪ কিলোমিটার, নওগাঁ থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব ৫১৪ কিলোমিটার, নাটোর থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব ৪০৬ কিলোমিটার, জয়পুরহাট থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব ৫১৪ কিলোমিটার, পাবনা থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব ৩৭৪ কিলোমিটার, লালমনিরহাট থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব ৬১৪ কিলোমিটার, দিনাজপুর থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব ৬২৯ কিলোমিটার।
পঞ্চগড় থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব ৬৮৩ কিলোমিটার, বাগেরহাট থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব ১৮১ কিলোমিটার, মেহেরপুরথেকে কুয়াকাটার দূরত্ব ৩৮০ কিলোমিটার, মাগুরা থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব ২৯৩ কিলোমিটার, নীলফামারী থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব ৬১৪ কিলোমিটার, বাগেরহাট থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব ১৮১ কিলোমিটার, যশোর থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব ২৭২ কিলোমিটার, কুড়িগ্রাম থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব৬১৬ কিলোমিটার।
Leave a Reply